অন্ডালে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে ডিজিসিএ
পারিজাত মোল্লা , দুর্গাপুর,
স্পাইসজেট বিমানে মাঝ আকাশে দুর্ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল ডিজিসিএ। গত রবিবার সন্ধেবেলায় মুম্বই থেকে অণ্ডাল যাওয়ার পথে প্রবল ঝড়ের মধ্যে পড়েছিল বিমানটি। প্রবল ঝাঁকুনি শুরু হয় বিমানের ভেতর । তাতে আহত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন যাত্রী। ১০ জন যাত্রী এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এক মহিলার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে ।গত রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বাই থেকে অন্ডালে আসার সময় অন্ডাল এয়ারপোর্ট থেকে প্রায় ১৮৫ কিমি আগে মাঝ আকাশে ঝড়ের কবলে পড়ে স্পাইস জেটের একটি ফ্লাইট।মাঝ আকাশে নিয়ন্ত্রণ হারায় বিমানটি। কেবিনে থাকা মালপত্র যাত্রীদের উপরে পড়তে শুরু করে থাকে ।যাত্রীরা জানিয়েছেন, -‘ আচমকা মাঝ আকাশে ঝাঁকুনি শুরু হয়। কেউ কেউ তাড়াতাড়ি সিট বেল্ট পরে নেন। বাকিদের কেউ কেউ ঝাঁকুনির চোটে পিং পং বলের মতো ওঠা-নামা করতে থাকেন। কারওর মাথা ফেটে যায়। কারওর হাত ভেঙে যায়। কেউ কোমরে চোট পান’। বিমানটি যদিও শেষ পর্যন্ত নিরাপদেই অবতরণ করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল বিমানবন্দরে।মোট ১৭ জন যাত্রীকে প্রথমে অন্ডালের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫ জনকে প্রাথমিক চিকিত্সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। একজনকে রেফার করা হয় দুর্গাপুরের এক হাসপাতালে। জখম যাত্রীদের দেখতে আসেন জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ, আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি পূর্ব অভিষেক গুপ্তা প্রমুখ। রবিবার রাতে চেন্নাই থেকে আসা ফ্লাইটটিকেও প্রথমে বারানসীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে রাতের দিকে বারানসী থেকে সেটি অন্ডালে নামে।এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বা পাইলট কালবৈশাখীর সতর্কবার্তা সম্পর্কে আগাম অবগত ছিলেন কি না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ডিজিসিএ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। স্পাইসজেটের তরফে জানানো হয়েছে, বিপদের সময় সিট বেল্ট পরার চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল। পাইলট ও ক্রু’রা সিট বেল্ট পরার কথা বার বার ঘোষণা করেন। এখন দেখার তদন্তে কি উঠে আসে?