৭ই পৌষ উদযাপনে রবীন্দ্রভারতী সোসাইটি
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ ও শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা দুটিই সংঘটিত হয়েছিল বাংলা মাসের ৭ই পৌষ তারিখে, ১২৫০ ও ১২৯৮ সনে। রবীন্দ্রানুরাগীদের কাছে স্মরণীয় এই দিনটি স্মরণে রবীন্দ্রভারতী সোসাইটি (জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি) এক মনোজ্ঞ আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করল গত সোমবার সোসাইটির পাঠাগার কক্ষে। ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন সোসাইটির কর্মপরিচালন সমিতির সদস্য ও ব্রাহ্মসমাজের সাথে যুক্ত ব্যক্তিত্ব তপোব্রত ব্রহ্মচারী মহাশয়। অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন শতাব্দী প্রাচীন হতে চলা এই সোসাইটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শ চেতনা দর্শন ও ভাবধারায় পুষ্ট এবং কবিগুরুর বিপুল কর্মকাণ্ড সমাজে বিস্তারে সদা সচেষ্ট – তারই অঙ্গ হিসাবে আজকের আয়োজন ‘প্রণমামি’। উপনিষদের বাণী সম্বলিত মন্ত্রোচ্চারণ, ভাষ্যপাঠ এবং সমবেত কণ্ঠে ব্রহ্মসঙ্গীত পরিবেশনের দৌলতে অনুষ্ঠানের পরিবেশ যথার্থ ভাবের সঞ্চার এনে দেয়। মন্ত্রোচ্চারণ করেন তপোব্রত ব্রহ্মচারী, ভাষ্যপাঠে ছিলেন ইরা সর্বজ্ঞ ও অঞ্জন চন্দ্র, ব্রহ্মসঙ্গীত পরিবেশন করেন সুপ্রিয়া চক্রবর্তী, বুলবুলি ঘোষ, সঙ্গীতা গাঙ্গুলী, ভাস্বতী বিশ্বাস, শম্পা গুহ রায়চৌধুরী, সীমা ঘোষ, জয়শ্রী দে, ঐন্দ্রিলা বসু, তমাল পাল, বরেন দে প্রমুখ সোসাইটির সদস্য শিল্পীবৃন্দ। জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারের মূলত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও হেমলতা দেবী রচিত ব্রহ্মসঙ্গীতগুলি গাওয়া হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটির ভাবনা, সংকলন, বিন্যাস, ভাষ্যপাঠ রচনা ও পরিচালনায় সদস্যা মানসী ভট্টাচার্য্য। মহতীপূর্ণ এই আয়োজন সর্বাঙ্গসুন্দর হয়ে ওঠে সোসাইটির সদস্য/সদস্যাদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানে।