রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতি সহ জেলার কিছু জ্বলন্ত সমস্যার সমাধানে জেলা শাসকের দপ্তরে দাবীপত্র পেশ
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কর- দর, মূল্যবৃদ্ধির চাপে একদিকে জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস উঠছে,আর অন্যদিকে চলছে শাসকদলের নানা মাপের নেতা-নেত্রীদের প্রশাসনকে সাথে নিয়ে নিরীহ জনগণের উপর লুটতরাজ, খুন, সন্ত্রাসের ঘৃণ্য রাজনীতি।যোগ্য প্রার্থীরা চাকরির আশায় বছরের পর বছর রাস্তায় বসে আছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হচ্ছে। চলছে ঘুষের রাজত্ব।এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে মুখে জনগণের দুর্দশার কথা বলে ভোটবাজ দলগুলি আগামী নির্বাচনে তার ফয়দা তোলার জন্য ব্যস্ত বলে অভিযোগ তোলা হয় বীরভূম জেলা এস ইউ সি আই কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে
সংগঠনের পক্ষ থেকে বুধবার বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড সহযোগে সুসজ্জিত এবং স্লোগানে মুখরিত একটি মিছিল সিউড়ি শহর পরিক্রমার পর জেলাশাসক দপ্তরের সামনে জমায়েত হয়। মিছিল এগোতে গেলে পুলিশ রাস্তা আটকে জোর জবরদস্তি করলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে ওখানেই অবস্থান বিক্ষোভ চলতে থাকে। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের পক্ষে আয়েষা খাতুন, বিজয় দলুই, মানস সিংহ, সেমিম আক্তার, অমিত মন্ডল প্রমুখ নেতৃত্ব। পরে প্রতিনিধি দলের সাথে জেলা শাসক (উন্নয়ন) আলোচনায় বসেন এবং সমস্ত দাবিগুলির যৌক্তিকতা স্বীকার করেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে আলোচনা চলে। বিশেষ করে মল্লারপুরের পর থেকে বিভিন্ন রাইস মিলের বিষাক্ত জলে প্রতি বছর দ্বারকা নদীর জল দূষিত হয়ে মাছ মরে যাওয়া।মৎস্যজীবীদের দুর্দশার বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপের আশ্বাস দেন বলে সংগঠনের দাবি। এছাড়াও
রাজগ্রাম এলাকায় ‘ওয়েস্ট ওয়েল- শিবম’ নামক দুটি পাথর খাদান ও ক্র্যাশার কারখানা হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। রাজগ্রাম স্টোন কোয়ারি লেবার ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও কারখানা খোলার দাবিতেও এদিন ডেপুটেশন দেওয়া হয়।সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের সভাপতি এ এল গুপ্তা।