জাহিরুল হক (রাজা মাস্টার),
মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে স্বচ্ছ অভিযান কর্মসূচির আয়োজন করা হলো মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নতুনহাট গ্রামে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “মিশন নির্মল বাংলা”কে সামনে রেখে এই ‘স্বচ্ছ অভিযান পরিকল্পনা’ বলে নেওয়া হয়েছে।জনসাধারণ বাড়ির বর্জ্য পদার্থ যত্রতত্র না ফেলে যাতে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে,তার জন্য মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে নতুনহাট এলাকায় প্রায় 600 টি বাড়ি এবং তৎসংলগ্ন দোকানে আবর্জনা ফেলার পাত্র বিনামূল্যে প্রদান করা হলো। প্রত্যেকদিন মানুষের বাড়ির বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করার জন্য মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ছয়টি কঠিন-তরল নিষ্কাশন গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আবর্জনা সংগ্রহ গাড়িটি প্রত্যেকদিন নতুনহাট এলাকার ছয়শো টি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দেওয়া আবর্জনা পাত্র থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে আসবে। আজকের এই স্বচ্ছ অভিযান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শান্ত সরকার,পঞ্চায়েত সদস্য লাল্টু শেখ, পঞ্চায়েত কর্মী সহ অন্যান্য সদস্যরা। উপপ্রধান শান্ত সরকার বলেন -মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মিশন নির্মল বাংলা’ কে সামনে রেখেই স্বচ্ছ অভিযান পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।আজ মঙ্গল কোট পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে 600টি বাড়ি এবং দোকানে বর্জ্য ফেলার পাত্র দেওয়া হল।যে সমস্ত পরিবারের আবর্জনা ফেলার জায়গা ছিল না তারা এই কর্মসূচির ফলে বিশেষভাবে উপকৃত হবে। তাছাড়া পরিবেশ যাতে দূষিত না হয়, সাধারণ মানুষ তাদের বাড়ির বর্জ্যপদার্থ যাতে যেখানে সেখানে না ফেলে তার জন্য মাইকিং করে প্রচার করা হলো। পঞ্চায়েত সদস্য লাল্টু শেখ বলেন, পঞ্চায়েতের অন্তর্গত অন্যান্য গ্রামেও ধীরে ধীরে এই পাত্র দেওয়া হবে ।এতে সাধারণ মানুষের খুবই উপকার হবে এবং এটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের আরেকটি সোপান বলে তিনি মনে করেন। সাধারণ মানুষকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, আমরা মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগকে বিশেষভাবে সাধুবাদ জানায়, কারণ আমাদের অনেকেরই বর্জ্যপদার্থ ফেলার জায়গা ছিল না,ফলে আমরা যত্রতত্র আমাদের বাড়ির বর্জ্য ময়লা ফেলে দিতাম এতে পরিবেশ দূষিত হতো।এখন থেকে আমাদের সেই সমস্যা অনেকটাই কম হলো।