মোল্লা জসিমউদ্দিন,
টানা তিনদিনের লাগাদার বৃস্টিতে এবং পাঞ্চেত – ডিভিসির ব্যারেজ থেকে জল ছাড়াতে বন্যা হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়।বিশেষত আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ব্লক গুলি ক্ষতিগ্রস্ত। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে অজয় নদের উপকূলে থাকা মঙ্গলকোটে। এই ব্লকের পনেরো টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অজয় নদের জলে প্লাবিত। ১০৭ টি মৌজার জমি বন্যার জলের তলায় বলে জানিয়েছেন মঙ্গলকোট বিডিও জগদীশ চন্দ্র বারুই। মাঝীগ্রাম, ভাল্ল্যগ্রাম, লাখুড়িয়া এলাকায় অজয় নদের উপকূলীয় বাঁধের একাংশ ভেঙে বন্যার বিপত্তি আরও বাড়িয়েছে।স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী দুর্গত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান।গত বৃহস্পতিবার বিকেলেই ডায়মন্ডহারবার থেকে আসে এনডিআরএফের উদ্ধারকারী দল।অজয় নদের চরে আটকে থাকা কুড়ির বেশি এলাকাবাসীদের উদ্ধার করেছে এই প্রতিনিধিদল। কয়েক হাজার মাটির বাড়ি ভেঙে গেছে বলে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা মঙ্গলকোট বিডিও সাহেব কে জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলকোটের সদর শহর নুতনহাটের বড় অংশ জলের তলায়। লোচনদাস সেতুর নিচে থাকা পুরাতনহাটের উপর দিয়ে দশ ফুটের মত জলস্তর বইছে।সাপের উপদ্রব ক্রমশ বেড়েছে।পানীয়জলের জন্য পাউচের ব্যবস্থা রেখেছে ব্লক প্রশাসন। মঙ্গলকোটের ছয় থেকে সাত জায়গায় ফ্লাড সেন্টার করা হয়েছে। মঙ্গলকোট ব্লকের পালিগ্রাম, চাণক, লাখুড়িয়া, সদর মঙ্গলকোট, শিমুলিয়া ২, ভাল্ল্যগ্রাম, মাঝীগ্রাম অঞ্চল গুলির অজয় নদের জলে ক্ষতিগ্রস্ত। অজয় নদের বাঁধ কেটে স্থানীয় বালিমাফিরা যাতায়াতের রাস্তা করায় এই বন্যার ভয়াবহতা বেড়েছে বহুগুণ বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এমনকি পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূম জেলার সংযোগকারী অজয় নদের লোচনদাস সেতুর নিচে যততত্র বালি তুলে নেওয়ায় বন্যার জলে জোয়ারভাটা চলছে অবিরত। যখনতখন সেতুর পিলার ধসে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রসঙ্গত গত বছর রাজ্য সরকারের তরফে ৮০ লক্ষ টাকা সেতুর পিলার সংস্কারে দেওয়া হয়েছিল।