গোপাল দেবনাথ,
বিশ্ব কন্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে ভবানীপুর ৭৫ পল্লী দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যরা পুরুলিয়ার চড়িদা গ্রামের ২৫০ শিশুদের বস্ত্র বিতরণ করে দিনটি উদযাপন করল
ভবানীপুর ৭৫ পল্লী দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যরা তাদের পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুসারে পুরুলিয়ার চড়িদা গ্রামের ২৫০ শিশুদের বস্ত্র বিতরণ করে ‘বিশ্ব কন্যা দিবস’ পালন করল। তাদের এবারের পুজোর থিম ‘মানবিক’। এই থিমকে ভিত্তি করে ৭৫ পল্লী দুর্গাপুজো কমিটি এবারে পুরুলিয়ার ছৌ-শিল্পীদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেবার মনস্থ করেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে এই শিশুকন্যাদের নতুন বস্ত্র বিতরণের আয়োজন।
দক্ষিণ কলকাতার এই পুজোটির মাধ্যমে ৭৫ পল্লী দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যরা যে অভিনব থিমের মাধ্যমে প্রতি বছর সমাজের প্রতি একটি বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে, তার জন্যই পুজোটি ধীরে ধীরে উল্লেখযোগ্যভাবে সামনের সারিতে উঠে এসেছে। তারই রেশ ধরে এবারের থিম ‘মানবিক’-এর মাধ্যমে তারা নিজেদের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে বদ্ধ পরিকর। এ বিষয়ে উল্লেখ করা প্রয়োজন রামায়ন, মহাভারত তথা ভারতের অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনী বর্ণনা করে নিজস্ব শৈলীতে নাচের মাধ্যমে জনসমক্ষে তুলে ধরেন ছৌ শিল্পীরা, যা দেশ তথা বিদেশের মাটিতেও যথেষ্ট জনপ্রিয়। পুরুলিয়া জেলার চড়িদা গ্রামটি ছৌ নৃত্যের মুখোশ তথা পোশাক তৈরির জন্য বিখ্যাত।লকডাউনের ফলে বাংলার এই অতি জনপ্রিয় লোকশিল্প ‘ছৌ নৃত্য’ প্রদর্শন একেবারে বন্ধ। তার ফলে শিল্পীরা আর্থিকভাবে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সেদিকে দৃষ্টিপাত করেই পুজো কমিটির এই সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, ভবানীপুর ৭৫ পল্লী এবারে ৫৭ তম দুর্গোৎসব পালন করছে, যার থিম রাখা হয়েছে ‘মানবিক’। মন্ডপ সজ্জা, প্রতিমা, পুজোর মন্ডপের পরিবেশ, সুরক্ষা, সংহতি প্রভৃতির উৎকৃষ্ট মেলবন্ধনে এই পুজো মানুষের মন জয় করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই। ‘মায়ের আঁচল’, ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘আরশিনগর’, ‘আমার স্বপ্ন ভবানীপুরে… লন্ডন’, ‘খুঁজে পাওয়া স্মৃতির খাতা- উল্টে পাতা শোনায় কথা’, ‘মা’, ‘নীল সাদায় এক টুকরো ভবানীপুর’ এবং গত বছরের ‘নাগর দোলায় সবার পুজো’ প্রভৃতি প্রতিটা থিম প্রতি বছর যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে শহরের বিভিন্ন পুজোর মধ্যে এই পুজোর স্বাতন্ত্রতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে। ক্লাবের তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে এবারেও নিজেদের থিমের মাধ্যমে তারা শহরের পুজোগুলির মধ্যে আলাদা জায়গা করে নিতে সক্ষম হবেন।