বিতর্কিত পোস্ট ডিলিট করে হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে উঠে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের দাখিল মামলা।অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্ট ডিলিট করলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। গ্রেফতারির আশঙ্কায় তাঁর আবেদন করা মামলার শুনানি ছিল এদিন। কলকাতা হাইকোর্টে নিজের ভুল স্বীকার করে নিলেন সুখেন্দু। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের দেওয়া তথ্য ভুল বলে মানলেন তিনি। এবার তিনি অনেকটাই আইনী স্বস্তিতে। মঙ্গলবারের মধ্যেই মিডিয়া পোস্ট মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মুছে ফেললে কলকাতা এফআইআর নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না কলকাতা পুলিশ বলে জানা গেছে। গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুখেন্দু। আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলায় লালবাজারে হাজিরা দেওয়ার জন্য পুলিশের দুটি নোটিস পান তৃণমূল সাংসদ। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত লালবাজার যাননি তিনি। এর পরই গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুখেন্দুশেখর।রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করেই রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে জরুরি শুনানির আবেদন জানান তিনি। যদিও বিচারপতি ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, তৃণমূল সাংসদের আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মামলার শুনানি হবে।এদিন সেই শুনানি হয়েছে। গত রবিবার বিকালে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূল সাংসদকে। সূত্রে জানা গেছে , তিনি না আসায় তাঁকে আবার তলব করা হয়। সুখেন্দুশেখরকে প্রথম নোটিস পাঠানো হয় দুপুর একটা নাগাদ। সেই নোটিসে তাঁকে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দেখা করতে বলা হয় লালবাজারে। তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। নিজের দাবির স্বপক্ষে তিনি গত ২৬ জুলাই দিল্লির এইমসে চিকিৎসক দেখানোর পরে তাঁদের দেওয়া প্রেসক্রিপশন ও ৩১ জুলাই এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি ও পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের দুই বিভাগীয় প্রধানকে দেখানোর প্রেক্ষিতে তাঁদের দেওয়া যে প্রেসক্রিপশন রয়েছে, সেগুলিও পুলিশকে পাঠান। এরপর বিকেল ৪:৫৫ নাগাদ তাঁকে ফের তৃণমূল সাংসদকে নোটিস পাঠানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। বলা হয় বিকেল ৫:৩০ নাগাদ তাঁকে দেখা করতে হবে লালবাজারে। যদিও শেষ পর্যন্ত লালবাজারে হাজিরা দেননি সুখেন্দুশেখর। তবে তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, -‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে পুলিশের কাছে সময় চেয়েছেন তিনি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই’। মঙ্গলবার বিতর্কিত পোস্ট ডিলিট করার জন্য আইনী স্বস্তি পেলেন কলকাতা হাইকোর্টে।