পুলিশের হেডকোয়ার্টারে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,
মোল্লা শফিকুল ইসলাম দুলাল, ,
শুক্রবার সকালেই চন্ডীগড়ে পুলিশের হেডকোয়ার্টারে যান পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।সাথে ছিলেন রাজ্যের ডিজিপি ইকবাল প্রীত সিং সাহোতা।ইকবাল প্রীত সিং সাহোতা কে রাজ্য পুলিশের প্রধান পদে নিয়োগ করেছিলেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী পরমজিত্ সিং চান্নি। তাতে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত্ সিং সিধু। একটি সূত্রে খবর, সাহোতাকে শীঘ্র পুলিশ প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেবেন চান্নি। রণধাওয়াকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে দেওয়ার সময়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন সিধু। রণধাওয়া ছিলেন কংগ্রেসে সিধুর প্রতিপক্ষ ক্যাপটেন অমরিন্দর সিং-এর ঘনিষ্ঠ। তাঁর ভাগ্যে কী ঘটবে জানা যায়নি। গত মঙ্গলবার সিধু পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদে ইস্তফা দেন। তবে গত বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন চান্নি। বৈঠকের পরে অনেকেই আন্দাজ করেন, সিধু হয়তো প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ নাও ছাড়তে পারেন। ২০২২ সালে পাঞ্জাবে বিধানসভা ভোট হবে। এদিন সকালে সিধুর ঘনিষ্ঠ এক কংগ্রেস নেতাও বলেন, প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজনীতিক সিধুর নেতৃত্বেই সম্ভবত আগামী বছরে ভোটে লড়বে কংগ্রেস। এদিন দুপুরে সিধু টুইট করে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আলোচনার জন্য ডেকেছেন। তাঁর সঙ্গে যে কোনও বিষয় নিয়েই আমি কথা বলতে পারি।’ সিধুর উপদেষ্টা মহম্মদ মুস্তাফা বলেন, ‘শীঘ্রই সব বিতর্কের অবসান হবে।’ পরে তিনি বলেন, ‘সিধু অনেকসময় আবেগের বশে কাজ করেন। কংগ্রেস নেতৃত্ব সেকথা জানে। অমরিন্দর সিং তো দলের নেতাদের গুরুত্বই দেন না। সিধু সেরকম নন।’ গত বৃহস্পতিবার রাতে জানা যায়, সিধু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে থাকছেন। এর পাশাপাশি পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপটেন অমরিন্দর সিংকেও নিয়ে চলছে জল্পনা। তিনি দিল্লিতে এসে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। এই খবর শোনার পরে অনেকের ধারণা হয়, বিক্ষুব্ধ অমরিন্দর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। যদিও গত বৃহস্পতিবার ক্যাপটেন নিজে বলেছেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। তবে কংগ্রেসেও আর থাকবেন না। পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার জন্য অমিত শাহের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। পাঞ্জাবে বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস বাকি থাকতে তাঁকে সরিয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড দলিত চরণজিত চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী করায় ক্ষুব্ধ, অপমানিত বোধ করছেন অমরিন্দর। অমিত শাহের বৈঠকের পর অমরিন্দর ট্যুইট করেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁকে নয়া কৃষি আইন বাতিল, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করে সমস্যা সমাধানের আবেদন করেছেন।বিধানসভার প্রাক্কালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কৌতূহল ক্রমশ বাড়ছে।