Spread the love

পুড়ে যাওয়া শরীর ও ফুসফুসের ক্ষত সরিয়ে ৪০ দিনে সুস্থ আসামের ইয়াশিকা

কলকাতা – পলকের ভুল ডেকে নিয়ে আসলো সর্বনাশ। মুহূর্তে ঝলসে গেল ১৬ বছরের ইয়াশিকা। উত্তপ্ত হাওয়া শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে গিয়ে তার শ্বাসতন্ত্র ফুলিয়ে দেয়। যার ফলে ততক্ষনাৎ অকার্যকর হয়ে পরে তার ফুসফুস। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মুখ আর ঘাড়ের অংশটি। ডিসান হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ডিরেক্টর ডাঃ মোহিত খারবান্দার তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ ৪০ দিন লড়াইয়ের পর সুস্থ হয়ে ওঠে ইয়াশিকা। এই ঘটনায় উল্লেখ্য যে এই মারাত্মক ঘটনাটিতে তার শরীরের ৫০ভাগ অংশ আগুনের কবলে চলে এসেছিলো।

ঘটনাটি ঘটে আসামের ডিব্রুগড়ে। ১৬ বছর বয়সী যশিকা সাইকিয়া, তার ঘাড় এবং মুখেপোড়া ক্ষত নিয়ে ডিসান হাসপাতালে ডাঃ মোহিত খারবান্দার তত্ত্বাবধানে ভর্তি হয়। ডঃ খারবান্দা দেখেন তার শ্বাসতন্ত্র ফুলে গিয়েছিল। এবং একটি গভীর ইনহেলেশন ক্ষত চিহ্নিতকরণ করা হয় এবং একটি হালকা ফাইবারোপটিক ব্রঙ্কোস্কোপি ক্ষতটি পরীক্ষা করার জন্য তার মুখ দিয়ে একটি টিউব ঢোকানোর মাধ্যমে ক্ষতির মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। ইয়াশিকাকে তখন সহায়তার জন্য ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল এবং একটি ব্রঙ্কোস্কোপি-গাইডেড ইনটিউবেশন করা হয়েছিল।

তার অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পরে তার ঘাড়ে তৈরি একটি গর্তের মাধ্যমে তার ফুসফুসে সরাসরি বাহ্যিক বাতাস এবং অক্সিজেন প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি ট্র্যাকিওস্টমি করা হয়েছিল। এবং সর্বব্যাপী চল্লিশ দিন ধরে ইনহেলেশন ক্ষতের পাশাপাশি তার শরীরের প্রায় অর্ধেক ঢেকে পোড়া অংশগুলিরও যত্ন নেওয়া হয়।

ইয়াশিকার শারীরিক অবস্থার উন্নতি প্রসঙ্গে ডঃ মোহিত খারবান্দা বলেছেন, “ইয়াশিকার সুস্থতা আমাদের নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছে।এটার জন্য আমি আমার গোটা মেডিকেল টিমকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।।”

বর্তমানে ইয়াশিকা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন এবং ক্লাসে যোগ দিচ্ছেন এবং তিনি এখনও নিয়মিত চেকআপের জন্য ডাঃ খারবান্দাকে দেখেন। তার অভিজ্ঞতা মানব আত্মার স্থিতিস্থাপকতা এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবার রূপান্তরমূলক সম্ভাবনা উভয়ের উদাহরণ হিসেবে কাজ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *