নিয়োগ স্থগিত, উচ্চপ্রাথমিকে অভিযোগ নিস্পত্তিতে অতিরিক্ত সময় আরও তিনমাস,
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
ফের আইনী বেড়াজালে সাময়িক আটকে গেল উচ্চপ্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসির তরফে জানানো হয়েছে – ‘ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ এসেছে প্রায় ৪০ হাজারের মত।ইতিমধ্যেই সাড়ে ৬ হাজার অভিযোগের নিস্পত্তি ঘটেছে। আরও সময় দরকার অভিযোগ নিস্পত্তি ঘটাতে ‘। এই বক্তব্য জানার পর আদালত এসএসসি কর্তৃপক্ষ কে অভিযোগ নিস্পত্তি ঘটাতে আরও ৩ মাস অতিরিক্ত সময় দেয়।এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৫ সপ্তাহের পর।তবে এই সময়সীমার মধ্যে এসএসসি কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে পারবেনা, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত। এটাই প্রথমবার নয়। মামলার জটে বারবার আটকে গিয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া। গত জুলাই মাস থেকে চলছে এই মামলার শুনানি। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে বুধবার ছিল শুনানি। প্রথমে নম্বর সহ মেধা তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে সে ভাবেই নম্বর সহ মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে তালিকা দেখে চমকে যান অনেক প্রার্থী। তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।পরে আদালত স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল যাতে সব অভিযোগ শোনা হয়। শিক্ষা দফতরের সহ অধিকর্তাকে এই অভিযোগ শোনার ভার দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া আপাতত জারি আছে। তবে আজকের শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, অভিযোগ সংখ্যায় এত বেশি যে তা শোনা এক-দু জন আধিকারিকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।প্রায় ৪০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে, শিক্ষা দফতরের সহ অধিকর্তা পদে রয়েছেন দু জন। তাই তাঁদের পক্ষে সব অভিযোগ শোনা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলেই সময় বেশি লাগছে।উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে হওয়া পরীক্ষায় উচ্চ প্রাথমিকে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৩৯৯। এই সংখ্যক ফাঁকা আসনে ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হয়েছিল মোট ১৫ হাজার ৪০৬ জনকে। গত ৪ অগস্ট সেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হয়। যদিও এসএসসি সূত্রে প্রকাশ , তথ্যগত অসঙ্গতির কারণে ৬০০-র বেশি প্রার্থীর আবেদন বাতিল করা হয়। মোট ১৫ হাজার ৪০৬ জনকে ইন্টারভিউ দিতে ডাকা হয়েছিল। যার মধ্যে ১২০০-র বেশি প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন বলে খবর। অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত ৪০ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে।এখন আদালত তা নিস্পত্তি ঘটাতে আরও ৩ মাস সময় দিল।এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৫ সপ্তাহ পর।তবে এই সময়সীমার মধ্যে কোন নিয়োগ হবেনা তাও এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে।