রাজেন বিশ্বাস,
সুজয় ঠাকুর,
রামানন্দ ঠাকুর এবং সবিতা ঠাকুর এর সুযোগ্য পুত্র। যার জন্ম সাহেব গঞ্জে পাহাড়ের কোলে ১৯৫৩ সালে ১৯ এ মার্চ মামার বাড়িতে। স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই নাচের হাতে খড়ি সুজয় ঠাকুরের, মামার তত্ত্বাবধানে আই পি টি এর সন্মেলনে প্রথম তার মঞ্চে ওঠা সেই শুরু, চলছে আজও এই সত্তর বছর এর যুবক এর। তারপর কলকাতায় চলে আসা , এবং ভর্তি হওয়া বৌবাজার হাইস্কুল এ, ঠিকানা শিয়ালদহ।
সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক,১৯৭৪ সাল। সেই সময় সঙ্গী ছিল, সাঁতার, শরীরচর্চা, খেলাধুলা। এরই মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা ছিল শুনে শুনে বাজাতে দেখা ঢোল আর তবলা। এরই মধ্যে তৈরি হলো ক্যালকাটা কয়ার, যার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সুজয় ঠাকুর। সেখানে রইলেন আজকের আরও এক কিংবদন্তি সঙ্গীত সাধক কল্যাণ সেন বরাট। এই ক্যালকাটা কয়ার এই এলেন নৃত্য গুরু ড. শম্ভু ভট্টাচার্য্য। তার কাছেই সৃজনশীল নৃত্যের ছন্দে মেতে উঠলেন সুজয়। শাস্ত্রীয় নৃত্য ও প্রয়োজন সেই কারণে এলেন আরো এক নৃত্যগুরু পিনাকী রায় এবং পরে গুরু অনিতা মল্লিক। আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে শুরু হয় সেই অসাধারন নৃত্য ভাবনা জন হেনরী, এই ক্যালকাটা কয়ার এর হাত ধরে। কত্থক নৃত্যের জন্য তালিম পেয়েছেন, গুরু প্রদীপ্ত নিয়োগী এর কাছে। এরপর শুরু হলো আরো এক মৌলিক যাত্রা যার নাম হলো শিঞ্জন আজ থেকে ৩৯ বছর আগে । সঙ্গে রইলেন আজকের দিনের স্বনামধন্য সৃজনশীল নৃত্যের সাধক কোহিনুর সেন বরাট। নৃত্য জীবনে জন হেনরীর পর, হাল্লা রাজা, প্রযোজনার নাম গুপী বাঘার কাণ্ড। সেই নিয়েই বিদেশ যাত্রা ২০০৫ সাল।ডাক দিল নিউইয়র্ক। সেখান থেকে ফিরে এসে ব্রেন এ অস্ত্রোপচার তাকে থামিয়ে রাখতে পারে নি আজও তিনি ছুটছেন, আর সেই উদযাপন ই হলো ১৫ ই মার্চ ২০২৩ এ কলকাতার মোহিত মৈত্র মঞ্চে, যাকে বলে একেবারে সগৌরবে। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা তথা বাংলার বহু স্বনামধন্য শিল্পীরা।
সবাই আপ্লুত এই দিনের অনুষ্ঠান এ এসে।
বিশেষ আকর্ষণ ছিল ৪০ বছর আগের সুজয় ঠাকুর কে ফিরে দেখা আর সেই জন্য ক্যালকাটা কয়ার এর বৃন্দ গানের সাথে মঞ্চে উঠলেন সুজয় সমবেত কণ্ঠে ধ্বনিত হলো ” নাম তার ছিল জন হেনরী।