সেখ মিলন (ভাতাড়, পূর্ব বর্ধমান) ভাতাড়ের দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাস থেকে উদ্ধার হওয়া মালপত্র ফিরে পেয়ে ভাতাড় থানার পুলিশকে প্রশংসা মালিকদের। উল্লেখ্য, ভাতাড়ের নতুনগ্রাম এলাকায় গত মঙ্গলবার রাত্রে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি যাত্রী বোঝাই বেসরকারি বাস। একদিকে যেমন ভাতাড় থানার পুলিশ ও স্থানীয় মানুষজন দুর্ঘটনা কবলিত বাস থেকে জখম যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ঠিক অন্যদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসে থাকা কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার করে থানায় আনেন পুলিশকর্মীরা। গত বুধবার থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী প্রমানপত্র দেখে মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন ভাতাড় থানার পুলিশ। পাশাপাশি দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাস থেকে উদ্ধার হওয়া পাঁচটি মোবাইল ফোন মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, মুর্শিদাবাদের সালাদের বাসিন্দা দুই সরকারি কর্মচারী ভাতাড়ে বাস ঘটনায় জখম হন। প্রাণে বেঁচে কোন রকম বাড়ি ফেরেন তারা কিন্তু তাদের কাছে থাকা ব্যাগের মধ্যে ছিল বড় অংকের টাকা। টাকার ব্যাগ ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তারা। ব্যাগে থাকা পরিচয় পত্র দেখে ভাতাড় থানার পুলিশের মারফত জখম দুই ব্যক্তির কাছে খবর দেওয়া হয়। এদিন ভাতাড় থানায় এসে তারা টাকাসহ ব্যাগ দুটি ফিরে পান। কান্দির বস্ত্র ব্যবসায়ী জগবন্ধু পোদ্দার বলেন, যেকোনো দুর্ঘটনার সময় দেখা যায় দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ি থেকে মালপত্র লুটপাট হয়ে যায়। ভাতাড়ে বাস দুর্ঘটনায় তাঁর প্রায় ৫০ হাজার টাকার সামগ্রী অখ্যাত অবস্থায় ফিরে পেয়ে খুশি তিনি। তিনি আরও বলেন, বহু মানুষ পুলিশের সমালোচনা করেন। ভাতাড়ের নতুনগ্রামে দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ি থেকে সমস্ত মাল উদ্ধার করে মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া ঘটনা প্রমাণ করে বহু পুলিশ কর্মী আজও দায়বদ্ধতা ও সততার সঙ্গে কাজ করেন। তিনি ভাতাড় থানার পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ভাতাড়ে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় স্থানীয় মানুষ ও পুলিশের উদ্ধার কাজের ভূমিকাকে প্রশংসা করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার শ্রী আমনদীপ। ভাতাড়বাসি অনেকেই মনে করছেন, তৎপরতা সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্থ জখম যাত্রীদের উদ্ধার কাজ না হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারতো।