দুর্গাপুজোয় মন্ডপের সামনে ভীড় নিয়ে আশংকা
মির্জা মহঃ মশিহুর রহমান,
গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে – ‘গতবারের করোনা আবহে দর্শকশূন্য মন্ডপ থাকবে এবারেও’। এতে অবশ্য রাজ্য সহমত পোষণ করেছে। তবে দুর্গোৎসবে মন্ডপের সামনে ভীড় নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। কোথাও ৫ মিটার আবার কোথাও ১০ মিটারের আগেই মন্ডপে নো এন্ট্রি আগত দর্শনপ্রার্থীদের।পুজোর ক’দিন মণ্ডপ দর্শকশূন্য থাকলেও ব্যাপক ভিড় দেখা যায় ব্যারিকেডের সামনে।গতবারে প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে মণ্ডপ দর্শকশূন্য রেখে লাভ হল কি? মহানগরের এক পুজো কমিটির সদস্য বলেন ‘গত বছর তৃতীয়ার দিন পর্যন্ত দেখেছি, দূরত্ব-বিধি মেনে লোকে প্রতিমা দর্শন করেছেন। তবে পরে ব্যারিকেডের বাইরে ভিড় জমে যায় অসম্ভব ভাবে। এখনও পর্যন্ত যা নির্দেশ, তাতে সেই ভিড় এড়ানো যাবে না বলেই মনে হচ্ছে। তা হলে এমন নির্দেশে কি লাভ রয়েছে? ‘ দেশপ্রিয় পার্ক আবার মণ্ডপের বাইরের ভিড় সামলাতে রোবট রাখার ভাবনাচিন্তা করছে। এই রোবটই দেখবে কে মাস্ক পরেননি, কোথায় ভিড় হচ্ছে।আরেক পুজোর বললেন, ‘এতেও বাইরের ভিড়ের জ্বালা মিটবে বলে মনে হয় না। সবটাই মানুষের জনসচেতনতার উপরে নির্ভর করছে।’ পুজো কমিটির একাংশদের দাবি, তাঁদের রাস্তা যথেষ্ট চওড়া। বাইরের ভিড় নিয়ে তেমন সমস্যা নেই।’ আবার কোন কোন পুজো কমিটি জানিয়ে দিলো , মণ্ডপ দর্শকশূন্য রাখতে বলা হয়েছে। পুজো কমিটির দায় সেই পর্যন্তই। বাকিটা প্রশাসন বুঝবে’। এবারের পরিস্থিতি বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তাদের দিকে, এমনই মত কলকাতা পুলিশের একাংশের। কারণ, পুজোর পাঁচ দিন নাইট কার্ফু তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে পথে বেশি মানুষ নামার আশঙ্কা প্রবল। কিন্তু তাঁরা যদি মণ্ডপে ঢুকতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে ব্যারিকেডের সামনে ভিড় জমতে পারে। তাতে পুলিশ কে হিমসিম খেতে হতে পারে ।তবে কলকাতা পুলিশ সুত্রে প্রকাশ , -‘দিন কয়েকের মধ্যেই পুলিশের তরফে পুজোর নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে। তার আগে বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে’। একই রকম নির্দেশিকা প্রকাশ করতে পারে প্রশাসনও।এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মন্ডপ দর্শকশূন্য হলেও মন্ডপের সামনে ভীড় কেমন থাকে? তাতে পুলিশ কতটা কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।