সেখ সামসুদ্দিন, ১৭ এপ্রিলঃ একদিকে গরম অপরদিকে রোজার মাস, দুইয়ে মিলিয়ে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে অনেকটা। হঠাৎ খবর আসে রক্তশূন্য কেমরী ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক। খবর পাওয়া মাত্রই পল্লীমঙ্গলের কয়েকজন হাজির হয় রক্ত দিতে। ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, সাময়িক ১দিনের ঘাটতি হয়ত মিটল। কিন্তু এইভাবেই সবাই এগিয়ে এলে হয়ত রক্তসংকট মিটবেই মিটবে বললে জানান পল্লীমঙ্গল সমিতির তরফে সন্দীপন সরকার। তিনি এও বলেন অনেকে ভাবেন রুগীকে সরাসরী রক্ত দেব, ক্যাম্পে রক্ত দেবনা ! একটা কথা মাথায় রাখুন, রক্তের অভাবে অপেক্ষায় রুগীর বসে থাকা আর ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে রুগীর অপেক্ষা কিন্তু সমান !! ১ ইউনিট রক্ত ডোনারের থেকে নিয়ে রুগীকে দেওয়ার জন্য প্রায় ৫ থেকে ৭ ঘন্টা সময় লাগে সব রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ক্রস ম্যাচ করতে, ততক্ষণ রক্তগ্রহীতা রুগী কিন্তু অপেক্ষায় থাকবে রক্তের, বিলম্বিত হবে চিকিৎসা !! তাই তার জন্য রক্তের স্টক বা জোগান থাকা খুব আবশ্যিক ! ক্যাম্পে রক্ত দিন নিয়মিত সময় অন্তর। ক্যাম্পে রক্ত দেব না কারণ রক্ত নষ্ট হয় , ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়, বিক্রি হয় এইসব ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। হ্যাঁ ড্রেনে রক্ত ফেলে দেওয়া হয় আমিও শুনেছি কিন্তু দেখিনি। আপনি দেখেছেন নিজের চোখে ? কারুর কথায় শুনে মন্তব্য করবেন না প্লিজ। রক্ত বিক্রি হলে প্রতিবাদ করুন অভিযোগ জানান কিন্তু ক্যাম্পে রক্তদান থেকে পিছিয়ে আসবেন না। রক্তশূন্য ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক কিন্তু ভয়ঙ্কর অবস্থার বাস্তবতা ! রুগীর অপেক্ষায় থেকে রক্তদান না করে ক্যাম্পে রক্তদান করুন রুগীর জীবনের নিশ্চয়তা রাখুন।