Spread the love

জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ, এনআইএ তদন্ত দাবিতে মামলা,

বৈদূর্য ঘোষাল ,
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে জাতীয় সড়ক অবরোধ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ হলো। গত বৃহস্পতিবার হাওড়ার অঙ্কুরহাটি অবরোধের ঘটনা নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা দাখিল করেন  দেবদত্ত মাঝি। এইভাবে বম্বে রোড অবরুদ্ধ করে দেওয়ায় নাজেহাল হয়েছে সাধারণ মানুষ। তা  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ কে দিয়ে  তদন্ত আবেদন জানালেন আবেদনকারী। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।মহম্মদ পয়গম্বর নিয়ে দিল্লির বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে সারা দেশ তোলপাড় চলছে । এর প্রতিবাদে দেশে-বিদেশে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে এ রাজ্যেও। গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে অঙ্কুরহাটিতে অবরোধ করা হয়। এরপর তা বাড়তে থাকে। গত সন্ধের মধ্যে ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এই অবরোধের জেরে নাকাল অফিস ফেরত যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে গাড়ির চাকা না ঘোরায়, গাড়ির মধ্যেই  অপেক্ষায় করতে থাকেন যাত্রীরা। পুলিস সূত্রে প্রকাশ , অবরোধের জেরে দ্বিতীয় হুগলি সেতু বন্ধ হয়ে যায়। হাওড়া ব্রিজের উপর গাড়ির চাপ বাড়ে। হাওড়া ব্রিজ ও নিবেদিত সেতু দিয়ে গাডি ডাইভার্ট করানো হয়। নবান্ন পর্যন্ত যানজট পৌঁছে যায়। কলকাতাতেও প্রভাব পড়ে। বিক্ষোভকারীদের অবরোধ তোলার অনুরোধ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। হাত জোড় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন, “এই যে কিছু রাস্তা অবরোধ হয়েছে। সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। দিল্লিতে একটা ঘটনা ঘটেছে, আর তারজন্য বাংলাটাকে তছনছ করবে? আমি চাইলে হয়ত পুলিস দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে ওঠাতে পারতাম। কিন্তু আমি সেটা করব না।” কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি, শেষে ১১ ঘণ্টা পর পুলিসি তত্‍পরতায় অবরোধ ওঠে। এই ঘটনা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দাখিল হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে। সোমবার এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *