ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে মামলা। ‘ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে?’ সেই রিপোর্টই এবার তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের মামলা চলছে। এবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকেই জানতে চাওয়া হয়েছে -‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করার ক্ষেত্রে রাজ্যের তরফ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে’। প্রসঙ্গত, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে রাজনৈতিক তরজা। বহুদিন ধরেই সেখানকার বাসিন্দাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে শীঘ্রই শেষ হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। কিন্তু এখনও শেষ হয়নি তা। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অভিযোগ, -‘প্রতিবছর বর্ষায় ঘাটালে বন্যা হয় আর তাতেই বিপুল মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েন। কিন্তু সেই নিয়ে রাজ্য সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না, বরং রাজ্য সরকারের উদাসীন মনোভাবই প্রকাশ পায়’।২০১৯ সালে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য বরাদ্দ করা হয় আট হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সেই আট হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকার ঘাটাল প্ল্যানের জন্য রাজ্য সরকার কীভাবে খরচ করেছে? আদৌ তা খরচ করা হয়েছে কিনা? এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট। হাইকোর্টের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সম্পর্কিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। রাজ্য জানিয়েছিল, -‘কেন্দ্র না করলে রাজ্যই করে দেবে মাস্টার প্ল্যান’।এদিন রিপোর্ট দেখে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আগামী বর্ষার আগে কিছু তো করুন। এখনই শুরু না করলে কিছুই করতে পারবেন না।’এই রিপোর্টে উল্লেখ করা আছে যে বন্যার পর ক’টা শাড়ি, কতগুলি বিছানার চাদর, লুঙ্গি, কতটা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর কীভাবে কাজ করেছে, সেটা লেখা আছে। কিন্তু মাস্টার প্ল্যান কীভাবে কার্যকর হবে, কীভাবে এই বন্যা প্রতিরোধ করা হবে, সেই বিষয়ে কিছুই লেখা নেই। পরের বন্যার জন্য আগাম কী প্ল্যান আছে?’ সেটাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি।প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “এই কাজ করতে গেলে আপনাদের অনেক কাজ করতে হবে। যন্ত্র কোথায় বসবে, কতজনকে পুনর্বাসন দিতে হবে, এলাকা দখল মুক্ত করতে হবে। এই সব তথ্য কোথায়?” প্রধান বিচারপতি আরও জানান , “প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভাল।” ৬ সপ্তাহের মধ্যে ফের রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।