গ্রুপ সি নিয়োগে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
গ্রুপ সি নিয়োগে ফের রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠেছিল গ্রুপ সি নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি।স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি-র পাশাপাশি গ্রুপ সি-র কর্মী নিয়োগেও বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছ্বতা নিয়ে চলতি বছরের গত ২ ডিসেম্বর বিস্তারিত রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন মামলাকারীরা। এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে গ্রুপ সি নিয়োগে ‘ভুয়ো’ কর্মীদের বেতন বন্ধের নির্দেশও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ।এদিন ছিল সেই মামলার শুনানি। তাতে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে আদালত-কত জনকে এসএসসি রেকমেন্ডেশন করেছে, কত জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। কতজন চাকরিপ্রার্থী এখনও ওয়েটিংয়ে আছে।কত পোস্ট খালি পড়ে রয়েছে।এইসব প্রশ্নের উত্তর রাজ্যের কাছে চেয়েছে আদালত। বলা হয়েছে, বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকদের পক্ষ থেকে রাজ্য হাফনামা জমা দেবে। তারা কতগুলো রেকমেন্ডেশন লেটারের ভিত্তিতে নিয়োগ করেছে তা জানানোর পাশাপাশি এও জানাতে হবে যে, কার কাছ থেকে সেই রেকমেন্ডেশন লেটার পেয়েছে এবং কিভাবে পেয়েছে।আগামী ২৩ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানা গেছে।গ্রুপ সি নিয়োগে মামলাকারীরা কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, এসএসসি-র গ্রুপ সি পদে প্রায় ৩৫০ জন কর্মীর নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি রয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলাকারীর থেকে ‘ভুয়ো’ নিয়োগের সমস্ত নথি অর্থাত্ যাঁদের অস্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের নাম-ঠিকানা-নিয়োগপত্র চেয়ে পাঠিয়েছিল আদালত। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই আদালতে জমা পড়েছে।গ্রুপ সি’র পাশাপাশি গ্রুপ ডি পদেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ৫৪২ জন অভিযুক্ত কর্মীর বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। পাশাপাশি ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।মঙ্গলবার গ্রুপ সি নিয়োগে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ।আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।