গেরুয়া ছাড়লেন রায়গঞ্জ বিধায়ক, বিজেপি এখন ৭০
সাধন মন্ডল ,
পাঁচ মাসে সাত বিধায়কের বিজেপি সঙ্গত্যাগ।২ মে ছিল ৭৭, এখন তা ৭০।সর্বশেষ সংযোজন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।তিনি স্থানীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর প্রতি প্রশ্ন রেখে বিজেপি ছেড়েছেন। এখন কী করবেন? গন্তব্য কোথায়? বিধায়ক কৃষ্ণর জবাব, ‘এখন সময় নিয়ে ভেবে দেখব। তারপর যা করার করব।’ সেইসঙ্গে দেবশ্রীর উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘উনি যদি পরের বার লোকসভা ভোটে টিকিট পান তাহলে আমি ওঁর জমানাত জব্দ করে ছাড়ব। তা নাহলে রাজনীতি থেকে সন্যাস নেব। মিলিয়ে নেবেন।’ এদিন কৃষ্ণ কল্যাণী জানিয়ে দিয়েছেন, দলের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর যা ক্ষোভ বিক্ষোভ ছিল তা তিনি নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। তা সমাধানের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন এই বিধায়ক। তবে কোনও গা না করায় আজ পয়লা তারিখেই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন কৃষ্ণ। একুশের ভোটে ৭৭টি আসন জিতেছিল বিজেপি। তারপর নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা সাংসদ পদে থেকে যাবেন। দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তাঁরা। ফলে বিজেপির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৫। এরপর গত ১১ জুন তৃণমূলে ফিরে আসেন মুকুল রায়। এবার মুকুলবাবু কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন। মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৪-এ। তারপর বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের যোগদানের পর সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৭৩। ঠিক তার দু’দিন পর বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস এবং তার কয়েক দিন পর গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন রায় পদ্ম ছেড়ে জোড়া ফুলে যোগ দেওয়ায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় ৭১-এ। এদিন তৃণমূলে যোগ না দিলেও বিজেপির খাতা থেকে নিজের নাম কেটে দিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। এখন দেখার বিধায়ক সংখ্যা ৭০ ধরে রাখতে পারে কিনা বিজেপি?