Spread the love

খয়রাসোল ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের ঘরোয়া দ্বন্দ্ব জনসমক্ষে আসায় চাঞ্চল্য

সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম,
খয়রাসোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীমা ধীবর মঙ্গলবার তার অফিসকক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলীয় নেতৃত্ব সহ নির্বাহী আধিকারিকের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন খয়রাশোল ব্লকের বিডিও সৌমেন্দু গাঙ্গুলি ধোঁয়াশায় রেখে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করছেন। তিনি আরও বলেন বিডিও খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শ্যামল গায়েন ও জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষের অঙ্গুলী হেলনে যাবতীয় কাজকর্ম করছেন। এবিষয়ে জেলা শাসককে লিখিত ভাবে জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
পাশাপাশি রাজ্য যুব তৃনমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত সাহাকে ও একহাত নিয়ে বলেন তার এলাকায় নিজস্ব কোনো সংগঠন নেই। খয়রাসোলে মধু আছে তাই সবাই এখানে পড়ে থাকে।
সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খয়রাসোল ব্লক এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় আতঙ্ক। তাহলে আবার কি খয়রাসোলে তৃনমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিচ্ছে? শুরু হয়েছে গুঞ্জন। খয়রাসোল কি এখনো খয়রাসোলে আছে? উঠেছে প্রশ্ন। এনিয়ে শ্যামল কুমার গায়েন বলেন মিডিয়ার সামনে বলেছেন এটা দুর্ভাগ্যজনক, আভ্যন্তরীণ বিষয় কিছু থাকলে দলের মধ্যে আলোচনা করা দরকার ছিল। পাশাপাশি বিডিও র কাজের প্রশংসা করে বলেন উনি পিছিয়ে পড়া ব্লক থেকে উন্নয়নের মাধ্যমে সাজিয়ে তুলেছেন। সভাপতির এধরনের আচরণের জন্য উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হবে।এদিকে সভাপতি অসীমা ধীবরের দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করার ২৪ ঘন্টা পার না হতেই সভাপতির বিরুদ্ধে কেন্দ্র গড়িয়া অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত সমিতি সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হয়। কেন্দ্র গড়িয়া অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক কৈলাস বাউরি এক সাক্ষাৎকারে সভাপতি কে পাল্টিবাজ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও বলেন সামনে বিধানসভা ভোটের আগে পাল্টি খাবেন যার জন্য হয়তো উনি পার্টির কর্মী তথা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আলফাল বকছেন। ব্লক তৃনমূল কোর কমিটি যেভাবে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে এবং সুষ্ঠভাবে উন্নয়ন করে চলেছেন আমরা সবাই তাদের সঙ্গে আছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *