খন্ডঘোষে তিনমাসে প্রায় দু কোটি টাকার রাজস্ব আদায়, সৌজন্যে ওসি,
নিজস্ব প্রতিনিধি,
দক্ষিণ দামোদর এলাকায় পূর্ব বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ থানা পড়ছে।এই থানা এলাকায় দামোদর নদের বালি থেকে শুধু রাজস্ব বাবদ গত তিন মাসে উঠেছে প্রায় দু কোটি টাকা। ওভারলোডিং গাড়ি ধরা থেকে রাজস্বের চালান পরীক্ষায় ‘ জেগে জেগে ঘুমিয়ে থাকা’ ভূমি সংস্কার দপ্তর কে সাথে নিয়ে এই কৃতিত্ব গড়েছে খন্ডঘোষ থানা বলে জানা গেছে। ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী’র বংশধর খন্ডঘোষ ওসি সুব্রত বেরা সামাজিক কাজকর্মে এক অনন্য নিদর্শন রাখছেন । সদিচ্ছা আর সঠিক বাস্তবায়ন কে নিয়ে এক সরকারি অফিসার অনেক কাজ করতে পারেন । অপরাধ দমনে সঠিক পদক্ষেপ যেমন অপরাধ কমিয়ে দেয় ঠিক তেমনি সরকারের রোজগার অনেক বাড়াতে পারে তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ থানার ওসি সুব্রত বেরা । গত তিন মাসে প্রায় দুই কোটি টাকা রাজ্য সরকারের আয় বৃদ্ধি করে খণ্ডঘোষ থানার ওসি সুব্রত বেরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জেলার বুকে। বিভিন্ন থানায় কাজ করে সেই এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রুপায়নের জন্য যেমন কড়া হাতে অপরাধ দমন করেছেন অন্যদিকে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে , করোনা মোকাবেলায় রাস্তায় নেমে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থেকে প্রশংসা করিয়েছেন একসময় ।সুব্রত বেরা মাধবডিহি থানার ওসি থাকার সময় করোনায় মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের কন্টেনমেন্ট জোনে রাখার সময় তাদের বাড়ির অসহায় অবস্থার কথা জেনে মুর্শিদাবাদে পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছাবার ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে । এলাকায় শান্তি রক্ষার্থে ও সম্প্রীতি স্থাপন করতে ইমাম পুরোহিতদের সঙ্গে ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি । মাস খানেক হয়েছে খন্ডঘোষ থানার ওসি হয়ে এসেছেন তিনি। এসেই সিভিক ভলেন্টিয়ার ও দক্ষিণ দামোদরের সাংবাদিকদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ বেনিফিটের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।তার সংশাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেনের হাত দিয়ে। কালী পূজায় দুস্থদের বস্ত্রদান, অর্থ সাহায্য ও প্রায় পাঁচ হাজার জন মানুষেরও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। কালীপুজোর মঞ্চে ‘খন্ডঘোষের রত্ন’ বিশিষ্ট সাহিত্যিক ডক্টর রমজান আলি থেকে শুরু করে তরুণ গবেষক তরুণ পাল , অনুর্ধ ১৭ রাজ্যদলে খেলা মল্লিকা টুডু কে সম্মানিত করেছেন জেলার এসপির হাত দিয়ে ।খন্ডঘোষ এলাকায় অবৈধ ও ওভারলোডিং গাড়ি আটকে সরকারি সিস্টেমে ফাইন কেটে কোটি কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে তুলে দিয়ে রাজ্যে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।গত তিন মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমান এক কোটি আশি লক্ষ তে দাঁড়িয়েছে ।কোন দুস্থ অসহায় কে হয় নিজে না হলে কোন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত দিয়ে সাহায্য করছেন তিনি।গ্রামে চোলাই মদ ও অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে ভুলছেন না তিনি। জানা গেছে, আরামবাগের ডহর কুন্ডু গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন সুব্রত বেরা । বাবা শম্ভুনাথ বেরা এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন ।তাম্রলিপ্ত পদক পাওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামী দাদু ভীম চন্দ্র বেরার আদর্শে চলা সুব্রত বেড়া অপরের কাছ থেকে প্রশংসা শুনলে লজ্জা পান। তিনি বলেন -‘ আমাদের বড় সাহেব অর্থাৎ পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন এর সাহায্য ছাড়া এইরকম কাজ করা সম্ভব হতো না। তিনি বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, আশ্রমের মহারাজ ও পুরুতদের এবং ভালো কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধারদের নিজের ফোন নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ রাখতে বলেছেন’। স্থানীয় বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ এবং জেলাপরিষদ সদস্য অপার্থিব ইসলাম ওসি সাহেবের কাজে ভুয়সী প্রশংসা করেন এমনকি বিরোধী দলের নেতারাও ওসি সুব্রত বেরার কাজে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন ।ওসি সুব্রত বেরার প্রচেষ্টা গোটা খন্ডঘোষ তথা দক্ষিণ দামোদরের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অপরাধীদের জন্য যেমন কড়া হতে পারেন তেমনি তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তরিক চেষ্টা করে যাচ্ছেন ওসি বলে জানা গেছে ।