কয়লা ও গরু পাচার মামলায় ‘ফেরার’ বিনয় মিশ্র কে ২০ জুনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ,
সেখ নিজাম আলম,
সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল সিবিআই এজলাসে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে । এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জানিয়েছে , – ‘ আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক ফেরার বিনয় মিশ্রকে আত্মসমর্পণ করার জন্য এই নির্দেশ দিয়েছেন।এরেই প্রেক্ষিতে গত রবিবার কয়েক টি দৈনিক সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে । আগামী ২০ জুনের মধ্যে ‘ফেরার’ বিনয় মিশ্রকে আসানসোল সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করার জন্য সময়সীমা দিয়ে নোটিস জারি করা হয়েছে ।সিবিআইয়ের দাবি, -‘ কয়লা ও গরু পাচারের তদন্ত শুরু করার পরেই বিনয় মিশ্র দুবাইয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এরপর প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র ভানাটুতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। পরে ওই ভানাটুর নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানেই পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেন বিনয়। ওই দ্বীপরাষ্ট্রের একটি অংশ বিনয় মিশ্র কিনে নিয়েছেন বলে দাবি উঠেছে । জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে ওই দ্বীপরাষ্ট্রের ভারতীয় দূতাবাসে তাঁর ভারতীয় পাসপোর্ট জমা দিয়ে লিখিত আবেদন করে বিনয় মিশ্র জানিয়েছিলেন , -‘ বর্তমানে তিনি ভানাটুর নাগরিক। তাঁর ভারতীয় পাসপোর্ট বাতিল করা হোক’। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে আসানসোল সিবিআই আদালত রেড কর্নার অ্যালার্ট নোটিস জারি করেছে এবং ইন্টারপোলকেও সতর্ক করা হয়েছে।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, -‘ কয়লা ও গরু পাচারের লভ্যাংশের মোটা টাকা বিনয় মারফত প্রভাবশালীদের বিদেশের অ্যাকাউন্টে পাচার করা হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। প্রভাবশালীদের ব্যাঙ্কক ও লন্ডনের বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা করা হয়েছে। বিদেশের বিভিন্ন ব্যবসায় পাচারের লভ্যাংশের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে’। কয়লা ও গরু পাচারের জড়িত থাকার অভিযোগে বিনয়ের ভাই বিকাশ মিশ্রকে ইডি ও সিবিআই গ্রেফতার করেছে। এই মুহুর্তে বিকাশ মিশ্র জেল হেফাজতে রয়েছে।বিনয় ও বিকাশ মূলত কয়লা ও গরু পাচারের লভ্যাংশের টাকা প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছে দিতেন। দুই ভাইয়ের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি। ঘটনার পর থেকে বিনয়ের বাবা ও মায়ের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি সিবিআইয়ের।কয়লা ও গরু পাচার মামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দুই সংস্থা সিবিআই ও ইডির নিশানায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। বাঁকুড়ার এক আইসি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। আরও এক পুলিশ অফিসার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাক পেয়েছিলেন।