কলকাতার সরকারি হাসপাতাল গুলিতে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে গাইডলাইন, আজ শুনানি
বৈদূর্য ঘোষাল ,
কলকাতার মূলত চারটি প্রধান সরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন দাবিদাওয়া কে সামনে রেখে নানান সময়ে আচমকাই স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে বা হচ্ছে। হয়রানির মুখে পড়েছেন সাধারণ রোগী রা, এমনকি অনেক সময় বিনা চিকিৎসার শিকার হতে হচ্ছে তাদের কে । হাসপাতালগুলিতে এই সব প্রতিবাদ, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশিকা নেই। কলকাতা হাইকোর্ট এ নিয়ে পাকাপাকি ভাবে কোনও নির্দেশিকা তৈরি করে দিক।মেডিক্যাল কলেজের বিক্ষোভের জেরে ক্ষতি হচ্ছে স্বাস্থ্য পরিষেবা – এই অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্ট যাতে এব্যাপারে একটি পাকাপাকি গাইডলাইন করে দেয়, সে ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়েছে উক্ত দাখিল পিটিশনে । আপাতত স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল রাখার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়ার জন্যও আবেদন করেছেন মামলাকারী ।আজ অর্থাৎ বুধবার এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি হতে চলেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ।মঙ্গলবার দায়ের করা এই মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে , -‘ কখনও ডাক্তার, কখনও নার্স আবার কখনও পড়ুয়াদের আন্দোলনের কারণে বাধা পেয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা । নির্বাচনের দাবি হোক বা হস্টেলের দাবি, নানা সময়ে আওয়াজ উঠেছে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে । শহরে চারটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে প্রতিবাদের কারণে । এই বিষয়গুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও গাইডলাইন নেই । এর ফলে ক্ষতি শুধু স্বাস্থ্য পরিষেবায় নয়, পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেন মামলাকারী । মামলাকারীর দাবি, – ‘ কলকাতা হাইকোর্ট এ ব্যাপারে একটি স্থায়ী গাইডলাইন করে দিক । আপাতত পরিষেবা সচল রাখার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া হোক । আজ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে । প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের বিষয়কে কেন্দ্র করে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা অত্যন্ত বিঘ্নিত । এর আগে মামলা দায়ের হয়েছিল বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের বেঞ্চে । অবিলম্বে মেডিক্যাল পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য নির্দেশ দেন তিনি । তারপরও রোগীর পরিবারের লোকজন অভিযোগ জানাচ্ছেন যে তাঁরা চিকিত্সা পরিষেবা ঠিকঠাক পাচ্ছেন না । তার জেরেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে ।আজ শুনানি রয়েছে এই জনস্বার্থ মামলাটির।