শুভ ঘোষ,
((চোখ রাঙাচ্ছে চতুর্থ ঢেউ- তার মাঝে আশার আলো শাইকোক্যানের করোনা ভাইরাস প্রতিহত করা যন্ত্র))
ক্রমেই শাইকোক্যান পূর্ব ভারতে জনপ্রিয় হচ্ছে।
কলকাতা: যদিও করোনার প্রকোপ খানিকটা স্তিমিত তবুও প্রায়ই নতুন ভ্যারিয়েন্টের খবর জনমনকে ত্রস্ত করে রেখেছে। আবার দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান বৃদ্ধি পাচ্ছে। যখন আমরা লকডাউন ভুলে স্বাভাবিক জনজীবনে ফিরতে চাইছি তখন চতুর্থ কোভিড ঢেউ চোখ রাঙাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসের শক্তিক্ষয় করার প্রযুক্তি নিয়ে নতুন ভরসা হিসেবে উঠে এসেছে শাইকোক্যান। করোনা সহ বিভিন্ন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের শক্তিক্ষয় করে তার প্রকোপ কম করতে এই যন্ত্রের গুণবত্তা আজ প্রমাণাত। ফলে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তরে এখন জোর কদমে শাইকোক্যান প্রযুক্তি-উৎপাদন সংস্থার ভাইরাস অ্যাটেন্যুয়েশন যন্ত্র স্থাপন করা হচ্ছে।
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে শাইকোক্যান এই মুহুর্তে বিশ্বের একমাত্র নির্ভরযোগ্য যন্ত্র যা করোনাভাইরাসকে ৯৯.৯ শতাংশ পর্যন্ত নির্বিষ করতে সক্ষম। মানুষ, পশু এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে এই যন্ত্র ব্যবহারে কোনো রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। হায়দ্রাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি একটি সিএসআইআর গোষ্ঠীর গবেষণাগার। সেখানকার ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পর এই যন্ত্রের সার্স কোভিড ভাইরাসের শক্তিক্ষয় করার ক্ষমতার বিষয়ে নি:সংশয় হওয়া গিয়েছে। শুধু ভারতে নয় বিশ্ব বিখ্যাত গবেষণা সংস্থা নেদারল্যান্ডের টিএনও এই যন্ত্রের সফল প্রয়োগ সুনিশ্চিত করেছে। করোনা ভাইরাস ছাড়াও এভিয়ান, ইক্যুইন আর্টেরাইটিস, এমএস২ ব্যাকটিরিয়ফাজ সহ বিভিন্ন ধরনের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক চিহ্নিত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসকে কাবু করতে সক্ষম বলে প্রমাণিত হয়েছে এই যন্ত্র। বায়ু বাহিত এই সব ভাইরাসকে ১০০ শতাংশ শক্তিক্ষয় করতে এবং স্থলভাগ থেকে সংক্রমিত ভাইরাসের ক্ষেত্রে ৯৯.৯ শতাংশ কার্যকর এই যন্ত্র।
এই যন্ত্র বিভিন্ন গবেষণা ও পরীক্ষায় যত সাফল্য পাচ্ছে ততই এর ব্যবহারও বাড়ছে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা অ্যাপল ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলোক শর্মা জানিয়েছেন এই যন্ত্রের ব্যবহার পূর্ব ভারতেও উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। “শাইকোক্যান ২০২০ তে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর প্রথম বছরেই ৩০ হাজার যন্ত্র আমরা বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করেছি। বিগত ১৮ মাসে যখন আমরা সবাই ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পেতে আগ্রহী হয়ে উঠেছি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক বা অন্য কর্মকান্ড দ্রুত স্বাভাবিক করতে চাইছে তখন এর ব্যবহার বাড়ছে। পূর্ব ভারতেও যথেচ্ছ এই যন্ত্র স্থাপিত হয়েছে। কলকাতার সদ্য সংস্কার হওয়া ইন্ডিয়ান অয়েল ভবন, শিবপুরের আইআইইএসটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সংস্থায় এই যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। উত্তর পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয় বিধানসভায় শাইকোক্যান যন্ত্র নির্বিঘ্নে অধিবেশন পরিচালনা করার আশ্বাস দিচ্ছে। এই চাহিদা বৃদ্ধিতে আমরা আশাবাদী যে কোনো রাজ্যে যদি ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পায় তাহলে সেই রাজ্যে যন্ত্রটি উৎপাদনের কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যও স্থির করেছি।”