Spread the love

ওয়েস্ট কলকাতা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে সারভিকাল ক্যানসার সচেতনতা শিবির

আসিফ রেজা আনসারী

মেয়েদের যে ধরনের ক্যানসার হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হল সারভিকাল ক্যানসার অর্থাৎ জরায়ুমুখের ক্যানসার। এ নিয়ে সার্বিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশ্বব্যাপী একটি উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার হাওড়ার খেজুরতলা এলাকায় ওয়েস্ট ক্যালকাটা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল একটি বিশেষ সচেতনতা শিবির হয়। সারভিকাল ক্যানসার নিয়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করেন। কাদের এই ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কিভাবেইবা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চিকিৎসক আয়েশা আবিদ, সোফিয়া আকতার এবং উজ্জ্বল মুন্সি।
প্রসঙ্গত, একটি তথ্য বলছে বিশ্বে প্রতি দুই মিনিটে একজন নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে মৃত্যুবরণ করেন। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর ৫০ লক্ষাধিক নারী নতুন করে এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন। বিভিন্ন হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তরফে বিশেষ সচেতনতা অভিযান চালানো হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এ দিন আলোচনাসভা হয়।

আলোচনায় প্রথমে কর্মসূচির উদ্দেশ্য এবং অন্যান্য দিক নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন আম্বিয়া বেগম। অন্যদিকে, মানুষ যাতে এই ক্যানসারের বিষয়ে সচেতন হন, এমনই বার্তা দেন ডা. উজ্জ্বল মুন্সি। তিনি বলেন, সারভিকাল ক্যানসার রুখতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং চিকিৎসাগত যে সমস্ত পদ্ধতি রয়েছে সেগুলোকে আরও বেশি মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এ দিকে ডা. আয়েশা আবিদ জানান, সারভিকাল ক্যানসার মূলত বিয়ের পরেই দেখা যায়। স্বামীর সঙ্গে মেলামেশা করতে গিয়ে বোঝা যায় যে সমস্যা রয়েছে। তাই তাঁর পরামর্শ, বিয়ের আগে অবশ্যই সারভিকাল ক্যানসারের স্ক্রিনিং করা দরকার। আর যদি কারও কোন সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে যেতে হবে। সারভিকাল ক্যানসার রুখতে ভ্যাকসিনের উপর জোর দেন তিনি। অন্য এক প্রসঙ্গে ডা. আবিদ জানান, মেয়েদের বহু পুরুষের সঙ্গে মেলামেশা, মাসিকের সময় গন্ডগোল কিংবা হোয়াইট ডিসচার্জ বা সাদাস্রাব এর মত সমস্যাগুলি হলে এই রোগের একটা সম্পর্ক থাকে। তাই এগুলো থেকে সচেতন থাকতে হবে। ডা. সোফিয়া আকতার ভ্যাকসিনেশন এর উপর জোর দেন।
এ দিনের এই সচেতনতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রুহুল আমিন, হাওড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ আম্বিয়া বেগম, জেলা পরিষদের সদস্য সামসুল আলম তরফদার, পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধি শেখ মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *