উন্নত অর্থোপেডিক জীবন লাভ করুন: মণিপাল কমিউনিটি কানেক্ট প্রোগ্রামের অংশ হন
18 জুলাই 2024, দুর্গাপুর: সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ভারতে অর্থোপেডিক সমস্যা, বিশেষত অস্টিওআর্থারাইটিস, অস্টিওপরোসিস, পিঠে ব্যথা এবং খেলাধুলার আঘাতের ঘটনাগুলির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা হয়েছে ৷ এই সমস্যাগুলির পেছনে অন্যতম হল, বার্ধক্য ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, অনিয়মিত জীবনধারা, দুর্বল খাদ্যাভ্যাস এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার সীমিত সচেতনতার অভাব। এর সঙ্গে আবার স্থূলতা (মোটা হওয়া) এবং ডায়াবেটিস পেশীবহুল ব্যাধিগুলির ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। দ্রুত নগরায়ন, অপর্যাপ্ত শারীরিক কসরত বা কার্যক্রম এবং প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের সীমিত পরিষেবা এই চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও জটিল করে তোলে।
এই সমস্যাগুলির প্রাথমিক সমাধান হিসাবে, মণিপাল হাসপাতাল ওল্ড এয়ারপোর্ট রোড স্বাস্থ্যকর বার্ধক্যের উপর মণিপাল কমিউনিটি কেয়ার প্রোগ্রাম শুরু করেছে – যা অর্থোপেডিক উদ্বেগের এক কার্যকরী ব্যবস্থাপনাময় সমাধান দেবে । পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য আরও ভাল স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিত করা, অর্থোপেডিক সমস্যাগুলি প্রতিরোধ ও পরিচালনার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিই এই কর্মসূচির লক্ষ্য। ডাঃ সুনীল জি কিনি, মণিপাল হাসপাতালের ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের অর্থোপেডিকস এবং রোবোটিক জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারির পরামর্শদাতা, প্রতি মাসে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় 600-800 রোগী যাঁর পরামর্শ লাভ করে থাকেন, বর্তমানে তার রোগীরা কি ধরণের অর্থোপেডিক উদ্বেগ এবং সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তা তুলে ধরেন। তিনি কিছু সাধারণ প্রবণতাও তুলে ধরেছেন :
- অস্টিওআর্থারাইটিস যা আগে শুধুমাত্র বয়স্কদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল বা বলা ভালো বয়স্কদের মধ্যেই দেখা যেত, এখন তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে এবং 35-45 বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এর প্রকোপ রীতিমত বাড়ছে।
- 25-45 বছর বয়সের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রদাহজনক আর্থ্রাইটিস।
- 50 বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে, অস্টিওপরোসিসের প্রাদুর্ভাব একটি সাধারণ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
- মানসিক আঘাত এবং খেলাধুলার আঘাত থেকে হওয়া অর্থোপেডিক সমস্যাগুলি সবসময়ই একটি উল্লেখযোগ্য অনুপাতের ক্ষেত্র তৈরী করে, এর মধ্যে এসিএল টিয়ার সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা যা 33% পর্যন্ত দায়ী। এই কারণে আঘাতগুলি বারে-বারে ঘুরে-ফিরে আসতে দেখা যায়।
মূল উদ্বেগের বিষয়গুলি আলোচনা করার পরে তিনি তাদের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্তকরণ, ঝুঁকির কারণগুলি বোঝা, চিকিৎসার কৌশলগুলি অন্বেষণ, অবস্থা পরিচালনার সর্বশেষ অগ্রগতি এবং সম্পূর্ণ সুস্থ্য হওয়া সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতাও ভাগ করেন।
প্রতিরোধ, প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং কার্যকর চিকিৎসার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “শৈশব এবং কৈশোরে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস দ্বারা বার্ধক্যে স্বাস্থ্যকর হাড়ের গঠন উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়। এই গঠনমূলক বছরগুলিতে সঠিক পুষ্টি এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ ভবিষ্যতে শক্তিশালী হাড়ের বিকাশ, অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে এবং হাড় ভাঙা রোধ করতে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।”
আলোচনায় প্রায় 80 জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তারা অর্থোপেডিক অবস্থার জন্য উপলব্ধ উন্নত চিকিৎসার বিকল্পগুলি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লাভ করেন, যার মধ্যে ন্যূনতম আক্রমণাত্মক অস্ত্রোপচারের কৌশল, পুননির্মাণের ওষুধ এবং ফার্মাকোলজিকাল সম্পর্কে বিস্তৃত সাধারণ ধারণা ছিল । অনুষ্ঠানটি একটি দ্বিমুখী আলোচনার পরিবেশ গড়ে তুলেছিল যেখানে স্থানীয় প্রতিনিধি, প্রভাবশালী, স্বাস্থ্য ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞ, তরুণ চিকিৎসা পেশাজীবী এবং মিডিয়া অর্থপূর্ণ আলোচনায় শুধু অংশ নেনেনি, তাদের উদ্বেগ উত্থাপন করেন এবং অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের কাছে সরাসরি তাদের প্রশ্নও জিজ্ঞাসা করেন। এখানে তারা অর্থোপেডিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা এবং অন্তর্দৃষ্টি আলোচনা করেন । উপস্থিতদের জন্য সত্যিই এই উদ্যোগ স্বাস্থ্যকর বার্ধক্য লাভের ক্ষেত্রে একটি সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টায় রূপান্তরের হয় ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে, মণিপাল হাসপাতাল ওল্ড এয়ারপোর্ট রোড অর্থোপেডিক সমস্যার প্রকোপ ও প্রভাব কমাতে এবং পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্যকর বার্ধক্য লাভে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করে চলেছে । সহযোগিতা এবং শারীরিক জ্ঞান প্রকাশের মাধ্যমে, হাসপাতালটি পশ্চিমবঙ্গ এবং তার বাইরেও স্বাস্থ্যকর, আরও সক্রিয় উন্নততর জীবন যাপনের পথ প্রশস্ত করে চলেছে ।