আদালত কে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ, নিউটাউন আইসি কে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে রাজ্য পুলিশের এক আইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে।এক প্রোমোটারকে বাঁচাতে রাজারহাট – নিউ টাউনের আইসি -র ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চ। এক মামলায় হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে আইসি-র ভূমিকা।বিপাকে পড়লেন রাজারহাটের নারায়ণপুর থানার আইসি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আদালতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ। তাই দ্রুত নারায়ণপুর থানার ওসিকে বৃহস্পতিবার সরানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এদিন বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকার ওই আইসিকে না সরালে আদালতই সরিয়ে দেবে।ওই ব্যক্তির আইসি পদে থাকার অধিকার নেই।’জানা গিয়েছে, নারায়ণপুর থানা এলাকায় একটি জমি দখল হয়ে যাওয়ায় নিউ টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক জমি মালিক । অভিযোগে জানিয়েছিলেন , তিনি জমি দিতে অস্বীকার করায় কয়েক জন দুষ্কৃতী তা দখল করে নেয়। জমিতে তৈরি হয় সাইকেল গ্যারেজ। এরপর দুস্কতিরা তাঁর ওপর অত্যাচার করে। এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ করেছিলেন জমির মালিক। কিন্তু থানার কাছ থেকে তিনি কোন সহযোগীতা না পাওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। দায়ের হয় মামলা ।এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে হয় এই মামলার শুনানি । সেইসময় নারায়ণপুর থানার আইসি একটি মামলায় দু’টি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, -‘প্রথম তদন্ত রিপোর্টে অনেক কিছুই উল্লেখ নেই’। এরপরেই রাজারহাটের নারায়ণপুর থানার আইসিকে সরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । আগামী শুনানিতে তদন্ত রিপোর্ট রাজ্যকে পেশ করতে হবে আদালতে। আরও জানা গেছে, অভিযোগকারীর রাজারহাটের বাড়িতে গিয়ে হুমকি,মারধর ঘটনা ঘটায় দুষ্কৃতীরা বলে দাবি ওই ব্যক্তির। তবে থানা পদক্ষেপ না করে হাইকোর্টকে বিভ্রান্ত করায় সরকারি কৌঁসুলিকে বিচারপতির সতর্কতা, “এমন আইসি-র এমন গুরুত্বপূর্ণ থানার দায়িত্বে থাকার কোনও অধিকার নেই। তাঁকে সরিয়ে দিতে বলুন। না হলে কোর্ট সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে।” দু’টি ঘটনাতেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রোমোটার বা জমি মাফিয়াদের পক্ষ নিয়ে পুলিশের পদক্ষেপের চূড়ান্ত সমালোচনা করেন।বিধাননগর পুলিশকে আদালতের নির্দেশ, -‘নিউ টাউনের আইসি’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করে সেই ব্যাপারে আগামী শুনানিতে অবহিত হবে আদালতকে। একইসঙ্গে আগামী দিনে বিভাগীয় ডিসিকে মামলাকারির অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে’। আদালতের এহেন নির্দেশে রাজ্য পুলিশে চাঞ্চল্য পড়ে গেছে।