বৈদূর্য ঘোষাল ,
গত শুক্রবার সন্ধেবেলায় কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘সারা বাংলা আইনজীবী ঐক্য মঞ্চে’র পরিচালনায় এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলী, প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, সিনিয়র আইনজীবি তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যান ব্যানার্জী,ব্যারিস্টার প্রমিত রায়, প্রাক্তন আইপিএস ড: নজরুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী কল্লোল বাসু। ‘ন্যায় বিচারের ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থার ভূমিকা’ নিয়ে এই আলোচনাসভা চলছিল। হঠাৎই ঘটলো ছন্দপতন। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা যাবে কি না? সেই প্রসঙ্গ তোলেন প্রাক্তন আইপিএস ডক্টর নজরুল ইসলাম। শাসকদল তৃণমূল এর বাধার কথা আসতেই উত্তেজিত হয় পড়েন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । চেয়ার ছেড়ে উঠে নজরুলের দিকে আঙুল নেড়ে তর্কবিতর্ক চলে আসেন তিনি। ব্যক্তিগত সম্পত্তির অভিযোগ তুলে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা নজরুলকে নিশানা করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। এই পরিস্থিতিতে আয়োজকরা দু তরফেই আবেদন জানিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি – ‘এটা একটা অরাজনৈতিক আলোচনাসভা। একজন এটা নিয়ে রাজনীতির কথা বলতে শুরু করেন। সেটা প্রত্যাশিত ছিল না। আমি আসার আগে বক্তাদের নাম শুনেছিলাম। আমাকে বলা হয়নি এই ভদ্রলোক (নজরুল ইসলাম) থাকবেন। থাকলে আমি আসতামই না।’ এর পরিপেক্ষিতে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চিত্কার করে আমার কথা বন্ধ করে দেবেন, আমি তেমন লোক না।’ উল্লেখ্য, শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মুখ হিসাবে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ডক্টর নজরুল ইসলাম একদম প্রথম সারিতে। আয়োজক সংগঠন অর্থাৎ ‘সারা বাংলা আইনজীবী ঐক্য মঞ্চে’র তরফে আইনজীবী সঞ্জয় দাস মহাশয় বলেন – ” ওই সামান্য বিবাদটুকু ছাড়া আমাদের আলোচনা সভা সার্থক। কলকাতা হাইকোর্ট সহ বিভিন্ন নিম্ন আদালত থেকে আইনজীবীরা এসেছিলেন এই সভায় যোগ দিতে”।